সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পরিবহন শ্রমিকদের,যাত্রীরা দুর্ভোগে

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট জেলায় কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকে এই আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সিলেট জেলায় এবং বুধবার থেকে পুরো সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

ভোর থেকেই সিলেটের বিভিন্ন রাস্তায় ‘পিকেটিং’ শুরু হয়। তারা কোনো ধরনের গণপরিবহন বা পণ্যবাহী গাড়িতে চলতে দিচ্ছে না। এতে স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীরা, চাকরিজীবীরা বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সকাল থেকে সিলেটে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অফিসগামী মানুষ যানবাহন সঙ্কটে পড়েন। কর্মবিরতি সফল করতে নগরীর প্রবেশমুখ দক্ষিণ সুরমার সবক’টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। তারা সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছিলেন। তবে- ব্যক্তিগত যানবাহন ও রোগীবাহী এম্বুলেন্স রয়েছে কর্মবিরতির আওতামুক্ত।

সোমবার রাতে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু সে অনুরোধ না রেখে আজ ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

দীর্ঘদিন ধরে তারা  আন্দোলন করে যাচ্ছেন। কোনো দাবিই আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে তারা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করেছেন পরিবহন শ্রমিকদের ৬টি রেজিস্ট্রার্ড সংগঠন। এ ৬টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ’র ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হবে। এ বিষয়ে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সিলেটে মাইকিংও করেন পরিবহন শ্রমিকরা।

সিলেট বিভাগের সব পরিবহন শ্রমিক কিছুদিন ধরে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালনসহ মিছিল-সভা করে আসছেন। দাবিগুলো হচ্ছে- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার ও উপ-কমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্যসহ মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ, সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারকারী নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, ভাঙাচোরা রাস্তাগুলোর দ্রুত সংস্কার এবং নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রয়কৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া। এছাড়াও অনুমোদনহীন গাড়ি যেমন- অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ডাম্পিংকৃত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন পরিবহন শ্রমিকগণ।

একই দাবিতে গত ৮ই সেপ্টেম্বর দক্ষিন সুরমা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সিলেটের ৫টি পরিবহন সংগঠনের নেতারা। এর আগে তারা একই দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপিও দিয়েছিলো।

বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ

Exit mobile version