বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানো কঠিন কাজ, আজকাল মায়েদের মুখে এই অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। বাচ্চার ঘুম নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার ঘুমের সময়েরও তারতম্য ঘটে। যা অনেকটা নির্ভর করে শিশুর দৈনন্দিন খাদ্যাভাস, টয়লেট, খেলাধুলা এবং তার জন্য বাবা মা ঘুমানোর কী ধরনের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে তার ওপর।
বয়স অনুযায়ী শিশুদের ঘুমের ধরন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন জন্মের পর ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা, ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়সে ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা, ২ থেকে ৫ বছর বয়সে ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা এবং ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সে ৯ থেকে সাড়ে ১০ ঘণ্টা। জন্মের পর থেকে বাবা মা বিশেষ করে মাকে সন্তানের ঘুমের অভ্যাসের দিকে নজর দিতে হবে এবং সন্তানের ঘুমনোর সময়ের পরিবর্তনগুলো ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম শিশুর শরীরে জন্য খুব প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যকর ও হজমের সহজ এমন খাবারই শিশুকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।ডিম শুধু উচ্চমানের প্রোটিনের উৎস নয়। ডিমে আছে ট্রিপটোফ্যান। যা এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড। ডিমের এ উপাদানটি সেরোটোনিন হরমোন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এটি শিশুর ঘুমের সময় সীমা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ছোলা ও অ্যামাইনো এসিড ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ। এতেও প্রাকৃতিক মেলোটোনিন থাকে। ছোলায় থাকা ভিটামিন বি ৬ও শিশুর ঘুমের জন্য সহায়ক।আখরোট মেলাটোনিন হরমোন এর একটি দুর্দান্ত উৎস, এছাড়াও এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থাকে যা ঘুম আনবেই।
রাতে শোয়ার আগে শিশুকে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ দিন। ঘুম আনতে এটিও বেশ কার্যকর। দুধেও থাকে ট্রিপটোফ্যান।শিশু যদি মিষ্টি কিছু খেতে ভালোবাসে তবে তাকে ঘুমানোর আগে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করাতে পারেন। খেজুরের ভিটামিন বি ৬ও পটাশিয়াম ঘুম আনে ভালো।
কলা ট্রিপটোফ্যান এবং ম্যাগনেসিয়াম এর দুর্দান্ত উৎস। ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতির কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।শিশু কলা খেতে পছন্দ না করলে তাকে ম্যাগনেসিয়ামের অন্যান্য উৎস যেমন বিভিন্ন ধরনের বাদাম, পালংশাক এসব দিতে পারেন।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে