চাপের মুখে ফিফটি হাঁকালেন ভানুকা রাজাপাকশে। ৩৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এ বাঁহাতি। তাকে দু’বার জীবন দিয়েছে পাকিস্তান। শেষ ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৩ রান তুলে শ্রীলঙ্কা। রাজাপাকশে ৪৫ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১৭০/৬।
ভালো খেলছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।অষ্টম ওভারে ইফতিখার আহমেদের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হলেন। দলীয় ৫৩ রানে চতুর্থ উইকেট খোয়ালো শ্রীলঙ্কা। ২১ বলে চার চারে ২৮ রান করেছেন ডি সিলভা। শাদাব খানের করা পরের ওভারে বোল্ড শানাকা। লঙ্কান অধিনায়ক করেছেন মাত্র ২ রান। ৯ ওভারে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৬২/৫।
হাসারাঙ্গা-ভানুকা ৩৬ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে টেনে তুললেন। ৫৮ রানে পঞ্চম উইকেটের পতনের পর শ্রীলঙ্কার হাল ধরেন ভানুকা রাজাপাকশে-ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দলীয় ১১৬ রানে হারিস রউফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হাসারাঙ্গা। ২১ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রান করেছেন তিনি।
চতুর্থ ওভারে হারিস রউফের হাতে বল তুলে দেন বাবর আজম। আর দ্বিতীয় বলেই তিনি সাজঘরে ফেরান ইনফর্ম ওপেনার পাথুম নিশঙ্ককে। ১১ বলে ৮ রান করে আউট হলেন চলতি আসরে দুই ফিফটি হাঁকানো নিশঙ্ক। মিড অফ থেকে তার ক্যাচ লুফেন বাবর। ২৩ রানে ২ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।
ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে এসে ১৫১ কি. মি. গতিতে ভেঙে দিলেন দানুশকা গুনাতিলাকার স্টাম্প। ৪ বল খেলে ১ রান করেছেন পুরো টুর্নামেন্টে ধুঁকতে থাকা গুনাতিলাকা। দলীয় ৩৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। রউফের করা ওই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন করে পাকিস্তান।
আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল আউট দেননি। রিভিউ নেয় পাকিস্তান। বল লেগ স্টাম্পে লাগলেও খানিকটা বাইরে থাকায় আম্পায়ার্স কলের কারণে বেঁচে যান ভানুকা রাজাপাকশে। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪২ রান।
এর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে টসে জিতলো পাকিস্তান দল। পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে। এশিয়া কাপে এটি পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার চতুর্থ ফাইনাল। আগের তিন ফাইনালে দু’বার জিতেছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান জিতেছে একবার।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে