গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার আবারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাচ্ছেন।তিনি একজন ‘ভাগ্যবান’ সচিব। বর্তমান সরকারের আমলে তিনি সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন তিনি । প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে তিনি আবার আলোচনায়।
দেশ স্বাধীনের পর গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে একটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। টানা ছয় বছর তিনি মন্ত্রণালয়টিতে আছেন। তার মধ্যে পাঁচ বছরই চুক্তিভিত্তিক। মন্ত্রণালয়টির শীর্ষ পদে এতটা সময় আর কেউ ছিলেন না।
২২ সেপ্টেম্বর তাঁর সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ কি আরেক দফা বাড়ছে, নাকি এবার তিনি বিদায় নিচ্ছেন, তা নিয়ে এখন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
শহীদ উল্লা খন্দকারকে আরও এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে।গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারকে জনস্বার্থে পুনরায় এক বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদানের বিষয়টি সদয় বিবেচনা করা যেতে পারে বলে সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে।
শহীদ উল্লা খন্দকারের দীর্ঘদিনের কর্ম-অভিজ্ঞতা, পেশাগত দক্ষতাকে অধিকতর প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে তাকে পুনরায় ১ বছর মেয়াদে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা প্রয়োজন বলে মনে করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৫ম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসাবে ১৯৮৬ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৭ সালের গত ২৯ সেপ্টেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মালয়ের সচিব পদ হতে অবসর গমন করেন। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ সালের প্রজ্ঞাপনে তাকে ২ বছর মেয়াদে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে তাকে পুনরায় দুই বছরের জন্য একই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হয়। তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পূর্ণ হবে।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৯ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট কোন কর্মচারীকে তার অবসর গ্রহণের পর জনস্বার্থে সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদানের বিধান রয়েছে। শহীদ খন্দকারকে পূর্বের চুক্তির ধারাবাহিকতায় এবং অনুরূপ শর্তে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ১ বছর মেয়াদে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়। শহীদ উল্লা খন্দকার ১৯৪৮ সালের গত ২৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
তিন দফায় শহীদ উল্লা খন্দকারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মোট মেয়াদ দাঁড়িয়েছে পাঁচ বছর। জনপ্রশাসনে সচিব পদে টানা পাঁচ বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘটনা বিরল বলে জানা গেছে।এ কারণে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা শহীদ উল্লা খন্দকারকে তাঁর ব্যাচমেট ও অধস্তন কর্মকর্তারা ‘ভাগ্যবান সচিব’ হিসেবে আখ্যা দেন।
প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। কারণ, কাউকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিলে আরেকজন কর্মকর্তা সচিব হওয়া থেকে বঞ্চিত হন।শহীদ উল্লা খন্দকারের চুক্তির মেয়াদ আরেক দফা বাড়ছে কি না, তা শিগগির জানা যাবে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ