আজ রোববার ভোরে বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নবজাতকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জের ইকরচালী হাজীপাড়া খারুভাজ সেতুর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অনন্ত চারজন আহত হয়েছেন।
রংপুরের তারাগঞ্জে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাত দিনের নবজাতকসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত সাত জন। তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতরা হলেন- নীলফামারীর নাছির উদ্দিনের ছেলে বরাত (৩০), জাহানুর ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) ও সাত দিনের নবজাতক। নিহত অন্য দুজন হলেন নীলফামারী সদর উপজেলার কুমড়ার মোড় এলাকার অ্যাম্বুলেন্সচালক আলামিন হোসেন (৩৫) ও ডোমার উপজেলার কাচুচুড়াডাঙ্গী গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪০)।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত নবজাতকের পরিবারসূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি এলাকার রশিদুল ইসলামের স্ত্রী মোসলেমা বেগম তিন দিন আগে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। আজ ভোরে সেই নবজাতক অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রোববার ভোরে খারুভাজ ব্রিজ থেকে পশ্চিমের কয়েক গজ দূরে সলেয়াশা বাজারের কাছে ভাই ভাই এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ হয়। এতে একই পরিবারের সাত জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোরশেদ বলেন, কয়েক দিন আগেও মহাসড়কটির ওই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নয়জনের প্রাণহানি হয়েছে। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স ও বাস পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ