সিঙ্গাপুরে অনৈতিক আচরণের কারণে ২৫ বছর বয়সী এক প্রেমিককে আদালত ২০ সপ্তাহের জেল দিয়েছে। ওই প্রেমিক তার প্রেমিকার কাছে এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ বার নগ্ন ছবি দাবি করে। হুমকি দেয়, যদি প্রেমিকা তার নগ্ন ছবি না পাঠান, তাহলে সে আত্মহত্যা করবে, তাকে প্রহার করবে, নাহয় তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি অনলাইনে প্রকাশ করে দেবে।
এক পর্যায়ে প্রেমিকার কাছে সে আরও দাবি তোলে। বলে, প্রেমিকা তার চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। এ জন্য সে আরও উন্মত্ত হয়ে ওঠে। প্রেমিকার মায়ের আপত্তিকর ছবি পাঠানোর দাবি জানায়। কিন্তু ক্রমশ প্রেমিকের এমন অসংলগ্ন দাবিতে বেঁকে বসেন তার প্রেমিকা। এ অভিযোগে সিঙ্গাপুরের আদালত বৃহস্পতিবার ওই নরপিশাচ প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ সপ্তাহের জেল দিয়েছে। সাজা পাওয়া এই প্রেমিক একটি খাদ্য সরবরাহ বিষয়ক সহকারী।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর আগে প্রথমদিকে প্রেমিকের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ওই প্রেমিকা গোপনে নিজের মায়ের গোসলের পরের ছবি ধারণ করেন। এ সময় তার শরীরের উপরের অংশ ছিল অনাবৃত। প্রেমিকের ইচ্ছে অনুযায়ী, ২০২০ সালের দিকে এসব ছবি ধারণ করেন ওই প্রেমিকা।
ওই বছরের শেষের দিকে অভিযুক্ত প্রেমিক তার বান্ধবীর নগ্ন ছবি অন্য একজন অচেনা ব্যক্তির কাছে যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য ইলেকট্রনিক্যালি পাঠায়। গত বছর ২৮শে ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত ব্যক্তি তার প্রেমিকার কাছে নতুন দাবি করে বসে। তার কাছে যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য নানা রকম পন্থা চিন্তা করে এবং সে অনুযায়ী তার কাছে দাবি করতে থাকে।
জবাবে প্রেমিকা জানান, তিনি এসব আর পারবেন না, তখনই তাকে হুমকি দেয় ওই প্রেমিক। বলে তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের রেকর্ডিং প্রকাশ করে দেবে। এক পর্যায়ে সে দাবি করে, প্রেমিকাকে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। সেই দৃশ্য দেখবে ওই প্রেমিক।
২০২০ সালের শুরুর দিকে ওই প্রেমিক তার প্রেমিকার কাছে নগ্ন ছবি চেয়ে দাবি জানায়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় অভিযুক্ত প্রেমিক বা প্রেমিকার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, এক পর্যায়ে ওই প্রেমিক দাবি তোলে তার যৌন আকাঙ্ক্ষা আর পূরণ করতে পারছেন না প্রেমিকা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ওই প্রেমিকা।
তিনি প্রেমিকের অসৎ উদ্দেশ্য টের পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত বৃহস্পতিবার শুনানিতে প্রেমিককে জেল দেয়। প্রেমিকার অন্তরঙ্গ ছবি তার অনুমতি ছাড়া অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করেছে আদালত। ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত দেয়া এবং ইলেকট্রনিকভাবে আপত্তিকর ম্যাটেরিয়াল বিষয়ে আরেকটি অভিযোগ বিবেচনায় নেয়া হয়।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে