জাতীয়রাজধানী

লাল চিহ্নিত অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়কে আগামী সপ্তাহ থেকে হকার বসতে দেওয়া হবেনা

আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে ১০ তলা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ বিপণিবিতানের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় লাল চিহ্নিত অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়কে আগামী সপ্তাহ থেকে আর হকার বসতে দেওয়ার হবে না।

দক্ষিণ সিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হকার্স মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে তাঁরা একটি নতুন পদক্ষেপ যাচ্ছি, নতুন কার্যক্রমে যাচ্ছি। এই বিপণিবিতানে হকারদের পুনর্বাসন করা হবে। একই সঙ্গে আগামী সপ্তাহ থেকে নির্দিষ্ট সড়ক চিহ্নিত করা হবে।শুধু অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোকে লাল চিহ্নিত করা হবে। এ ছাড়া কিছু সড়ক হলুদ ও সবুজ চিহ্নিত করা হবে। লাল চিহ্নিত সড়কে হাঁটার পথে আর হকার বসতে দেওয়া হবে না। আগামী সপ্তাহে এসব সড়ক থেকে হকার সরানোর অভিযান শুরু হবে।

মেয়র বলেন, ‘ আজকে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এটার কাজ শুরু করতে পেরেছি। আমরা আশা করব আগামী দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। হকার ভাই-বোনদের জন্য এটি একটি বড় মার্কেট হবে। তারা তাদের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন। এটি দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত ছিল। অত্র এলাকার হকার ভাই-বোনদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মার্কেট। দীর্ঘসূত্রতার কারণে এত দিন এটা করা হয়নি। ’

এ সময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আপনারা জানেন, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যে রকম মহামারি আকার ধারণ করেছিল, এবার সেই পর্যায়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন। তাই আমরা এ জন্য প্রথম থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিয়েছি।

যে জরিপগুলোর ফলাফল এসেছিল, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা বিস্তর চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি এবং বিগত দুই মাস নিয়ন্ত্রণকক্ষ পরিচালনা করে (এডিস মশার) মশা জন্মের উৎসগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়েছে। ফলে আমরা রাজধানীর বাসিন্দাদের এডিস মশার বিস্তার থেকে মুক্তি দিতে পেরেছি।’

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যায় অসময়ে বৃষ্টি হলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করে মেয়র বলেন, গতকালের পরিসংখ্যান (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য) অনুযায়ী, আমাদের রোগীর সংখ্যা ৪০; যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ। কারণ, পুরো মৌসুমে আমরা কাজ করে ডেঙ্গু রোগী ৩০, ২৫, ২০, ১৫ জনের কাতারে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শেষ পর্যায়ে এসে রোগী কিছুটা বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ সিটিতে এখনো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন।’

উল্লেখ্য যে, এ বছর ডেঙ্গু রোগে সারাদেশে ৩১ জন নিহত হয়েছে।ডেঙ্গু রোগে যারা মারা গিয়েছেন নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে্ন এবং তিনি বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এযাবৎ দুজন নিহত হয়েছেন। ’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিপণিবিতান ছাড়াও এদিন মুগদাপাড়া কমিউনিটি সেন্টার, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সংলগ্ন নিমতলী মোড়ে সড়ক সম্প্রসারণ ও বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অঞ্চল-১-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ

Back to top button