নদী ও খালগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে
আজ বুধবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত হয় জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভা। এ সভায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের অনুমতি ছাড়া কোনো নদী, খাল ভরাট করা যাবে না।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী।বক্তব্যে তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া কোনো নদী, খাল ভরাট করা যাবে না। তেমনি দখল ও দূষণ করা যাবে না। নদী ও খালের প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের স্বার্থে ও মানুষের কল্যাণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নদী ও খালগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় মনজুর আহমেদ চৌধুরী পটুয়াখালী শহরের নবাবপাড়া খাল, পুরোনো হাসপাতাল-সংলগ্ন খাল, সুতাখালী খাল, মেডিকেল কলেজের পশ্চিম পাশের খাল, বিসিক শিল্পনগরী-সংলগ্ন খালের পানিপ্রবাহ উদ্ধার ও রক্ষা করতে জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
৩ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনের সফরে পটুয়াখালী আসেন মনজুর আহমেদ চৌধুরী। এ সময় তিনি পটুয়াখালীর লাউকাঠি নদী, লোহালীয়া নদী, হেতালীয়া নদী, সুতাখালী খাল ও শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং নদী ও খালের দখল-দূষণ সরেজমিনে দেখেন।
সফরের শেষ দিন আজ তিনি জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় যোগ দেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সফরসঙ্গী ছিলেন কমিশনের উপপরিচালক (প্রশাসন) খ. ম. কবিরুল ইসলাম, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মুহ. বিল্লাল হোসেন খান, সহকারী প্রধান মো. তৌহিদুল আজিজ ও সাহিব মাহমুদ।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পরিবেশবিদ মো. এনামুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হুমায়ুন কবির, মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা নাহিদ, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শামসুর রহমান ইকবাল, লাউকাঠি ইউপির চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস, ছোটবিঘাই ইউপির চেয়ারম্যান আলতাফ হাওলাদার, মৌকরন ইউপির চেয়ারম্যান কাজী সেলিম প্রমুখ।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ