আজ বুধবার সকালে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুমে নতুন এ দামের ঘোষণা করেছেন বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ ব ম ফারুক।আজ বুধবার বেলা ১টা থেকে এ দাম কার্যকর হবে। এর আগের মাসে ১২ কেজিতে ৩৫ টাকা কমেছিল।
দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম এবার বেড়েছে। এখন ১২ কেজির সিলিন্ডারের এলপিজি কিনতে ১ হাজার ২৩৫ টাকা লাগবে। এত দিন এ জন্য দিতে হচ্ছিল ১ হাজার ২১৯ টাকা। সে হিসাবে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৬ টাকা।
বিইআরসি জানায়, সরকারি এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। বেসরকারি খাতে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা। এ হিসাবে বিভিন্ন পরিমাণের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ৫৫ পয়সা, যা আগে ছিল ৫৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে প্রতি মাসে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
গত বছরের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। এরপর থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। আ ব ম ফারুক বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাঠামোর মাধ্যমে কমিশন নিয়মিত বাজার তদারক করছে। ভোক্তারা সহনীয় দামে এলপিজি পাচ্ছেন বলেই কমিশন মনে করে। আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় হার ১০৪ টাকা ধরে মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় গেল আগস্টে এলপিজির দাম কেজিতে প্রায় তিন টাকা কমানো হয়েছিল।যদিও আগস্টে কমলেও জুলাই মাসে এলপিজির দাম বেড়েছিল কেজিতে এক টাকা। আরও আগে গত ৫ মে এলপিজির দাম কমিয়েছিল বিইআরসি। সেই সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল এক হাজার ৩৩৫ টাকা
এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্র চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববাজারে দাম কমার পরও দেশে কমানো যায়নি জলারের বিনিময় হারের কারণে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত বিনিময় হার ৯৫ টাকা ধরে হিসাব করা হলে দেশে দাম কমত। ১৬টি কোম্পানির ইনভয়েস ও ঋণপত্রের কাগজে বিভিন্ন রকম বিনিময় হার পাওয়া গেছে। সব কটির গড় মূল্য ধরে এবারের মূল্য হিসাব করা হয়েছে।
জানা গেছে, এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানে না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় প্রতিটি এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাকে আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীরা।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ