ভারতের ছত্তিশগড়ের তুলসী গ্রামের সবাই ইউটিউবার হয়ে যাচ্ছে

কোনো গ্রামের মানুষ অধিকাংশই হয়তো কৃষি কাজ করে। কিম্বা অনেকেই চাকরিবাকরি করে। অথবা হতে পারে প্রযুক্তি বা শিক্ষার আলো গ্রামে পৌঁছায়নি। গ্রামকেন্দ্রীক এমনটাই প্রচলিত গল্প বা সংবাদ। কিন্তু যদি এমন হয় যে, গ্রামের সবাই ইউটিউবার হয়ে যাচ্ছে তবে তা খটকা লাগে বৈকি।
সবাই কম বেশি ইউটিউবের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কারণে গ্রামটি ধীরে ধীরে পরিচিত হয়ে উঠছে ‘ভিলেজ অব ইউটিউবার’ বা ইউটিউবারদের গ্রাম হিসেবে। এই গ্রামের ৩৩ শতাংশ বাসিন্দা এখন সরাসরি জড়িত ইউটিউবে। এখান থেকেই করছে আয়।তিন হাজার বাসিন্দার গ্রামে এক হাজারজন ইতিমধ্যে ইউটিউবার হয়ে গেছে। ইউটিউবকেই বেছে নিচ্ছে পেশা হিসেবে। রোজ খুলছে নতুন নতুন চ্যানেল। তেমনই এক গ্রাম ভারতের ছত্তিশগড়ের তুলসী।
শিক্ষকতা ছেড়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন জয় বর্মা। তিনি বলেন, আগে তার মাসিক আয় ছিল ১২ থেকে ১৫ হাজার। এখন মাস গেলে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করেন তিনি। এ কাজে শুধু আয়ই নয়, আনন্দও পান যোগ করেন এই ইউটিউবার।
তাদের সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই তাই ইউটিউবের দিকেই ঝুঁকতে শুরু করে। যা ওই গ্রামকে ইউটিউবারদের গ্রামের তকমা এনে দেয়।
প্রশ্ন হলো- কেনই বা সব ছেড়ে ইউটিউবে যাচ্ছে সবাই। জ্ঞানেন্দ্র শুক্লা ও জয় বর্মার সাফল্যেই তুলসীতে জোয়ার আসে ইউটিউব চ্যানেলের।সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে জ্ঞানেন্দ্র ২০১১-১২ সালে বড়সড় ঝুঁকি নেন। ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। গ্রামে তিনি আগে রামলীলায় টুকটাক অভিনয় করতেন। সেটাই তুলে ধরা শুরু করলেন তার চ্যানেলে। বর্তমানে তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১.১৫ লক্ষ।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ
ফ্যান/হাসী,ঠাট্যা,বিদরুপে,পার্টি, প্রপারটি/
ফ্যান/হাসী,ঠাট্যা,বিদরুপে,পার্টি, প্রপারটি/