লমান এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার ম্যাচ চলাকালীন ড্রেসিং রুম থেকে দলের অধিনায়ককে উদ্দেশ্য করে ‘কোডেড’ সিগন্যাল পাঠাতে দেখা গেছে লঙ্কানদের প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউডকে। যেমন- টু ডি, এ২, ডি ইত্যাদি। তার এমন ‘কোডেড’ সঙ্কেত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এটিকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না।
তবে সিলভারউডের চোখে, এটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তার এমন টেকনিকের সমালোচনা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার ও জিম্বাবুয়ের বর্তমান ব্যাটিং কোচ ল্যান্স ক্লুজনার।তিনি জানান, ড্রেসিংরুম থেকে এমন সঙ্কেতের কোনো মূল্য নেই।গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন দলের অ্যানালিস্টের সহায়তায় কাগজে বড় করে কিছু সঙ্কেত লিখে, তা শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকার উদ্দেশ্যে মাঠের দিকে তাক করে রাখেন সিলভারউড।
সেটি দেখে মাঠে নিজের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন বা নিজের পরিকল্পনায় স্থির থাকেন শানাকা। কিন্তু মাঠের বাইরে থেকে কোচের এমন গোপন সঙ্কেত, কতটা ঠিক সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে।সিলভারউডের এমন কাণ্ডের সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। তবে সিলভারউডের এমন কাণ্ডের পক্ষে সায় দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়েন মরগান।তবে ভনের সুরে কথা বললেন ক্লুজনার।
তিনি বলেন, ‘আমি এই পদ্ধতি পছন্দ করি না (মাঠের অধিনায়ককে গোপন সঙ্কেত পাঠানো)। আমি কখনো এমনটা করিনি (যখন আফগানিস্তানের কোচ ছিলাম)। এটা দেখতে আকর্ষণীয় লাগলেও, আমার কাছে এর কোনো মূল্য নেই।’ক্লুজনার আরো বলেন, ‘কোচরা খুব সহজেই প্রতি ওভারের মাঝে বা পানি পানের বিরতিতে বার্তা পাঠাতে পারে। মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে অধিনায়ক, এমন বিশ্বাস যদি অধিনায়কের উপর থাকে, তাহলে এমন গোপন সঙ্কেত পাঠানোর কোনো মানে নেই।’তবে সিলভারউডের এমন কাজকে বড় কোনো সমস্যা মনে করছেন না দক্ষিণ আফ্রিকার মিকি আর্থার। তিনি বলেন, ‘ওই সংকেতগুলো অধিনায়ককে অনেক অপশন দিয়ে থাকে। অনেক সময় অধিনায়ককে মনে করিয়ে দেয়, যে কী করা যেতে পারে। এটা যদিও অধিনায়কের ব্যাপার সে এটা ব্যবহার করবে কি-না।
আর জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ার বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই, তাদের পরিকল্পনা কিভাবে কাজ করে। তবে আমি কল্পনা করি, এটি একটি সঙ্কেত, যা তাদের ইঙ্গিত দেয়- কোন বোলার বল করবে এবং কখন বল করবে। সবকিছু নির্ভর করে অধিনায়কের ওপর।’নিজের গোপন সঙ্কেতের ব্যাখা দিতে গিয়ে সিলভারউড বলেছিলেন, ‘এটা মহাকাশ বিজ্ঞান নয়। প্রতিপক্ষের ব্যাটার স্ট্রাইকে থাকতে, তখন ঠিক কী করলে ভালো হয়, সেসব পরামর্শই দেয়া হয়েছে। এখন অনেক দলই এসব করে।’
বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ