খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন গৃহবধূ রহিমা বেগম। গত নয় দিনেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি।এদিকে পুলিশ গতকাল এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরি আক্তার জানান, ‘বাড়ির নিচতলায় পানি নেওয়ার বালতি, কাছেই পায়ের জুতা, ওড়না সব কিছু পড়ে ছিল, কিন্তু মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা হয়েছে। জানা যায়, জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে রহিমা বেগমের। কয়েক দিন আগে এ বাড়িতে হামলা চালানো হয়। রহিমা বেগম ও তার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, ২৭ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ি নিজ বাড়ির দোতলা থেকে নিচের টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। তিনি উত্তর বণিকপাড়ার বাসিন্দা আবদুল মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী।
রহিমা খাতুনের আরেক মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কিছু দিন আগে তার মা বাদী হয়ে আদালতে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার কয়েকদিন পরে সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং তার মা ও বোনকে মারধর করে।
‘এ ঘটনায় তার মা আরেকটি মামলা করেন। এরপর থেকে আসামিরা তার ছোট বোনকে ধর্ষণ ও তার মাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ওই মামলার আসামিরা বর্তমানে জামিনে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার জন্য ওই আসামিদের সন্দেহ করছি।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রহিমা বেগমের প্রতিবেশী কুয়েটের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে