বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার দুই সদস্য পদত্যাগ করেছেন
বরিস জনসনের বিদায়ের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন তাঁর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। লিজ ট্রাস ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে হারিয়ে দিয়েছেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ রাজনীতিক প্রীতি প্যাটেল নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায়ও না থাকার কথা জানিয়েছেন। আর নাদিনে ডরিস বিবিসিকে বলেছেন, তিনি এখন লেখালেখিতে মনোযোগ দেবেন।
লিজ ট্রাস জয়ী হতে না হতেই বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার দুই সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা হলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ও সংস্কৃতিমন্ত্রী নাদিনে ডরিস।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার দুপুরে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারের একটি সম্মেলনকক্ষে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচন পরিচালনা করে ১৯২২ কমিটি।
এর চেয়ারপারসন স্যার গ্রাহাম ব্রাডি ভোটের ফল ঘোষণা করেন। তাতে ট্রাসের পক্ষে ৮১ হাজার ৩২৬ ভোট এবং সুনাকের পক্ষে ৬০ হাজার ৩৯৯ ভোট পড়েছে। আজ মঙ্গলবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাতে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ পাবেন লিজ ট্রাস। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। ক্ষমতাসীন দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর সম্মেলনকক্ষে উপস্থিত দলীয় নেতাদের অভিনন্দন জানান লিজ ট্রাস।
এদিকে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে লেখা এক চিঠিতে প্রীতি বলেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে লিজ ট্রাস দায়িত্ব গ্রহণ করলে ও নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব নিয়োগ করা হলে আমি সরে যাব।’
লিজ ট্রাসকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রীতি। সেই সঙ্গে লিজকে সমর্থনের কথাও জানিয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে তিনি সম্মানিত জানিয়ে প্রীতি লিখেছেন, ‘দেশকে রক্ষা করা এবং অভিবাসনব্যবস্থার সংস্কারের কাজ করে আমি গর্বিত।’
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জনসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করেছেন, জনগণকে করোনার টিকা দিয়েছেন এবং বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকে পর্যুদস্ত করেছেন।
জ্বালানি খরচ কয়েক গুণ বেড়ে অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন লিজ ট্রাস। কর কমানোর পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নিতে ‘বলিষ্ঠ পরিকল্পনা’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনেও আবার লেবার পার্টিকে হারিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাস।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ