বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি আশা করেন, একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলে তাঁকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। দুই প্রধানমন্ত্রী করমর্দন করেন। পরে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ভবনের আনুষ্ঠানিকতার পর শেখ হাসিনা রাজঘাট গান্ধী সমাধিস্থলে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে হায়দরাবাদ হাউসে।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনখড় এবং পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু। আমি যখনই ভারতে আসি, এটা আমার জন্য আনন্দের। বিশেষত আমরা সব সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করি। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে বিকাশ। আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা, যা আমরা করতে সক্ষম হব। বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সুতরাং, আমরা সর্বদা তা করি।’
আমাদের প্রধান লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নতি এবং দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ, যা আমরা করতে সক্ষম হবো। বন্ধুত্বের মাধ্যমে সব সমস্যার সামধান সম্ভব, যা আমরা সবসময় করে আসছি।
গতকাল সোমবার চার দিনের সফরে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বছর বিরতির পর প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে, এমনটা আশাবাদ ভারতের। আর বাংলাদেশ মনে করছে, এ সফরের মধ্য দিয়ে নানা মাত্রায় সংযুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের পাশাপাশি পুরো অঞ্চল বিকশিত হতে পারে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ