চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে কিছু রাস্তা ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার চীনা ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের বরাতে এসব তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
সিচুয়ানে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা, বিশেষ করে এর পশ্চিম পার্বত্য এলাকায়। এ কম্পনটি ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে সিচুয়ানের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।চীনা এ প্রদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০০৮ সালে। ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল হলো চেংদুর দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ২২৬ কিলোমিটার দূরের পার্বত্য শহর লুডিং-এ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৯ হাজার এবং ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ১ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মানুষ বাস করেন।সোমবারের ভূমিকম্পটি ইউনান, শানসি ও গুইঝো প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জনসংযোগ পরামর্শদাতা জানিয়েছে, ভূমিকম্প শুরু হওয়ার পর অনেক মানুষ আতঙ্কিত হয়ে কাঁদতে শুরু করেছিল এবং সব কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করেছিল। ফলে বেশ ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
চায়না নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে অনেক মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছিল। অনেক বাড়িতেই ফাটল দেখা দিয়েছে।সিচুয়ানের ইতিহাসে ২০০৮ সালের মে মাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল। আট মাত্রার ভূমিকম্পটিতে প্রায় ৭০ হাজার লোক মারা গিয়েছিল এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে