বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরকারের নির্দেশেই পুলিশের এমন আচরণ। এবার সংযত না হলে সামনে পুলিশের ওপরও এমন আঘাত আসবে। আমি হুঁশিয়ার করতে চাই যারা এ ধরনের মিথ্যা মামলা করবেন, যারা গুলি করে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করবেন, তাদের প্রত্যেকের হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় নেওয়া হবে।’আজ শুক্রবার বিকালে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই আহবান জানান।
পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব পরিস্কার করে বলতে চাই, আমরা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নই, আমরা কোনো বাহিনীর বিরুদ্ধে নই। আমার ট্যাক্সের পয়সায় তাদের বেতন হয়, তাদের সংসার চলে, তাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে, তাদের বউ-বাচ্চাদের কাপড় দেয়। তারা আমাদের কর্মীদের গুলি করে মেরে ফেলবে এটা কিভাবে মেনে নেবো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনমরণ লড়াই করতে হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে জনগনকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে একটি গণআন্দোলন গড়ে তুলি। যার উত্তাল সমুদ্রে যে সুনামি হবে তা এই সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক চরাই উতরাই পার হতে হয়েছে। বার বার আঘাত এসেছে বিএনপিকে ধবংস করবার জন্যে। কিন্তু বিএনপিকে কখনো দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। প্রতিবারই ধবংস স্তুপের মধ্যে থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সমস্যাগুলো নিয়ে যখন আমরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেছি তখন তারা গুলি করে আমাদের সহযোদ্ধাদের হত্যা করছে। গতকালকে গুলি করে হত্যা করেছে আমাদের নারায়নগঞ্জের যুব দলের কর্মী শাওনকে। পুলিশ বলছে শাওন যুব দলের কর্মী নয়। আমি আজ সকালে নারায়নগঞ্জ গিয়েছিলাম।
আমাদের দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী, শাওনের পরিবার ও তার আত্বীয়স্বজন বলেছে, শাওন যুবদল করতো। সে গতকাল মিছিলের অগ্রভাগে ছিলো। সেই ছবি গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ ও যুবকরা জেগে উঠেছে। আপনাদের ক্ষমতার সনদ গুড়ে দেবে। অবশ্যই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে শ্লোগান সেই শ্লোগান হচ্ছে ফয়সালা হবে কোন পথে? রাজপথে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের গত কয়েকদিনে পাখির মতো গুলি করে মেরেছেন। তারা পিছপা হয় নাই। আমি বলতে চাই, এই কর্মীরা ভয় পাওয়ার কর্মী নয়। এরা ভয় পেতে পেতে এই জায়গা এসেছে। আর কতো ভয় দেখাবেন।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের যে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এই নাজুক পরিস্থিতিতে আমাদেরকে প্রথম দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই সংকটের সমাধান হবে রাজপথে।’
বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুব দলের সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন ও কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ আরও অনেকে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে
তারমানে ফখরুল কর্মীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিবেন
পুলিশ তখন আঙুল চোষবে।
Bap Rea bap coada ki—
একযোগে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি থানা ঘেরাও করা হবে
তাঁর বাবা বেঁচে থাকলে যুদ্ধ অপরাধী হিসেবে বিচার হতো।