বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ছোড়া কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ভেতর পড়েছে। এতে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহরের দেওভোগ মর্গ্যান বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় নগর পাঠাগারের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এরপর পৌনে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা মর্গ্যান বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের দিকের রাস্তা দিয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশের ছোড়া তিন-চারটি কাঁদানে গ্যাসের শেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভেতরে পড়ে।
পরবর্তীতে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়া ছাত্রীদের মধ্যে ১২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া দশম শ্রেণির আয়েশা সুলতানা জানান, বৃহস্পতিবার তাদের ক্যারিয়ার ও আইসিটি পরীক্ষা ছিল। সকাল পৌনে ১১টার সময় একটি টিয়ারশেল এসে স্কুলের ভিতরে পড়ে। এসময় টিয়ারশেলের গ্যাসে অনেক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু বাইরে সংঘর্ষ চলায় তাৎক্ষণিকভাবে তারা বাইরে বের হতে পারেনি।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু জানান, ধাওয়া দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ভবনের ওপর উঠে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়লে সেখান থেকে হয়তো পড়তে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার শিক্ষক কবীর ইউ চৌধুরী বলেন, টিয়ারশেল স্কুলের মাঠে পড়ার পর বাইরে সংঘর্ষ চলায় ছাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায়নি। তাদের পানি দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। তাদের মধ্যে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় ১২ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের সময় আরও সর্তক হওয়া প্রয়োজন ছিল। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে