আসছে ২০২২ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় – সুপার টাইফুন ‘হিন্নামনর’। এর ফলে চরম বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ এবং চীনের পূর্ব উপকূল জুড়ে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া আরও বেশ কয়েকটি দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়, এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউএস জয়েন্ট টাইফুন কেন্দ্র জানিয়েছে, সুপার টাইফুন ‘হিন্নামনর’ বর্তমানে ঘণ্টায় প্রায় ২৫৭ কিলোমিটার বেগের ঝড়ে পরিণত হয়েছে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে প্রতি ঘণ্টায় ৩১৩ কিলোমিটারের বেশি বেগে। এর ফলে সমুদ্রে প্রায় ১৫ মিটার উচ্চতার টেউ সৃষ্টি হয়েছে।
হংকং অবজারভেটরি জানিয়েছে, সকাল ১০টায় টাইফুনটি জাপানের ওকিনাওয়া থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে কেন্দ্রীভূত ছিল এবং রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জের দিকে ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।একাধিক আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাস বলছে, এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২রা সেপ্টেম্বর ওকিনাওয়া দ্বীপের দক্ষিণে আছড়ে পড়বে।
এরপর ঝড়টি কোনদিকে যাবে, সেই বিষয়ে এখনও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। তবে, আবহাওয়ার মডেলগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে, ঝড়টি আগামী সপ্তাহে তাইওয়ান এবং চীনের মূল ভূখণ্ডের উপকূল অঞ্চল দিয়ে উত্তর কোরীয় উপদ্বীপের দিকে আগ্রসর হবে। বাতাসের গতির হিসেব অনুযায়ী এটি হবে এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়।
কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির মৌসুমী ঝড়ের পূর্বাভাসের প্রধান লেখক ফিল ক্লটজবাচ বলেছেন, অগস্ট মাসের শুরু থেকেই, এই অঞ্চলে একের পর এক হারিকেন বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। গত ২৫ বছর ধরে এমনটাই দেখা গিয়েছে। গত সাত দশকের মধ্যে মাত্র দুইবার আগস্ট মাসে হারিকেন অ্যালিতে একটিও হারিকেন তৈরি হয়নি – প্রথমবার ১৯৬১ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৯৭ সালে।
তবে মার্কিন যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে কিছুটা হলেও শক্তি হারাবে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই এই ঝড়ের প্রভাবে বাতিল হতে শুরু করেছে উড়ান। জাপান এয়ারলাইন্স কোম্পানি ওকিনাওয়া দ্বীপ থেকে বিমানের অবতরণ এবং ওড়া, দুই বাতিল করেছে।এএনএ হোল্ডিংস ইনকর্পোরেশনও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাদের আটটি উড়ান বাতিল করা হয়েছে।দুই সংস্থাই জানিয়েছে, টাইফুনের গতিপথের উপর নির্ভর করে গোটা সপ্তাহ জুড়েই বিমান চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে