আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের এসবি ফজলুল হক সড়কের নবদ্বীপ পুল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজন ছাত্রদল কর্মীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের এসবি ফজলুল হক সড়কের নবদ্বীপ পুল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জসিম উদ্দিন বলেন, বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সমাবেশস্থলে তাঁদের নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় নবদ্বীপ পুল এলাকায় তাঁরা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এরপর পুলিশের ওপর হামলা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল। আমরা খবর পেলাম, নবদ্বীপ পুলের পশ্চিমে দত্তবাড়ী সড়ক থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির ওপর হামলা চালিয়েছেন।
এমন খবরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্রদলের দুই নেতার চোখে গুলি লেগেছে। তাঁদের ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের ভাসানী মিলনায়তনে সমাবেশ চলছিল। এ সময় সেখানে কিছুটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে নবদ্বীপ পুল এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালান বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ এ সময় কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর শুরু হয় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এমন অবস্থা ঘণ্টাব্যাপী চলতে থাকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এর আগে জেলা বিএনপির সমাবেশ চলাকালে রাস্তায় তল্লাশি চালিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ এক ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমকে
মনে হয় যুদ্ধে গেছে
মনে,হয়,এরা,মোহরাতে,জাচছে,মিশনে