মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের কালিতলা এলাকার বাসিন্দা হারুন। কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন টাঙ্গাইলের কেদারপুরের নাগরপুরে। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন ছেলে নিয়ে হারুনের সংসার।
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে জমানো টাকা দিয়ে নৌকার আদলে একটি খাট বানান মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিতলা এলাকার হারুন-অর-রশীদ (৫৫)। সেই খাট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয়। হারুনের বানানো খাটটি এখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রাখা আছে।
প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে হারুন পেয়েছেন একটি ঘর। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি তাঁকে বুঝিয়ে দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, পাঁচ বছর ধরে জমানো টাকা দিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে ১১ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ৮ ফুট প্রস্থের একটি খাট বানান হারুন। দৃষ্টিনন্দন খাটটি চার মাস আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সহযোগিতায় গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী খাটটি পছন্দ করেন। গণভবন থেকে খাটটি হারুনের তত্ত্বাবধানে টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে বসানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হারুনের বাড়িতে দুই শতাংশ জমির ওপর একটি একতলা ঘর বানিয়ে দেওয়া হয়। এতে টিউবওয়েল, বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
হারুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুরে ভালোবাসি। প্রধানমন্ত্রীরে ভালোবাসি। আমি বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে ধারণ কইরা তাঁর মেয়েরে একটা খাট বানাইয়া দিছি। এটাই আমার জীবনে শ্যাষ কাম ছিল। প্রধানমন্ত্রী আমার কাম দেখে খুশি হইছে, তাতেই আমি খুশি হইছিলাম। তিনি যে আমারে মনে রাইখা পাকাঘর বানাইয়া দিবেন, চিন্তাও করতে পারি নাই। এত দিন পাকা ঘর ছিল না। ভাঙাচোরা ঘরে থাকতাম। এখন পাকা ঘরে থাকমু। এটা চিন্তা কইরা আমি ও আমার পরিবারের সবাই অনেক খুশি।’
ঘর উপহার দিতে এসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘হারুনের হাতের কাজ দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ। হারুনকে প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার দিতে পেরে আমরা খুশি।’
ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে হারুনকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছিলারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান আকন, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজাদ মুনশি, জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন প্রমুখ।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ