নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিতে শাওন নামে যুবদলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শাওনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল) আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শেখ ফরহাদ। তিনি বলেন, শাওন মাহমুদকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তাঁর শরীরে গুলির চিহ্ন আছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকাল থেকে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা।পরে সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল বের করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা।শুরু হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, পূর্ব অনুমতি ছাড়া বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তাঁদের সরাতে চাইলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে।
এ সংঘর্ষে সাংবাদিক-পুলিশ ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নোতকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন । নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতেই তাদের কর্মী নিহত হয়েছেন।তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষে যুবদলের কর্মী শাওন মাহমুদের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ