আজ ৩১ আগস্ট। অকালপ্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে লন্ডনে ডায়ানার একসময়কার বাড়িতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁর অনুসারী ও অনুরাগীরা। একই সঙ্গে প্যারিসের সেই সুড়ঙ্গেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অনেকে। সিকি শতাব্দী আগে ওই সুড়ঙ্গেই গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রেমিকসহ নিহত হন ডায়ানা।
ডায়ানার মৃত্যুর সময় তাঁর বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের ১৫ ও প্রিন্স হ্যারির বয়স ছিল ১২ বছর। মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে একসঙ্গে নেই তাঁরা। প্রিন্স উইলিয়াম স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত প্রিন্স হ্যারিও পারিবারিকভাবে মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছেন।
ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানার প্রকৃত নাম ডায়ানা ফ্রান্সেস স্পেনসার। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ফ্যাশন আইকন। তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুণগ্রাহীরা বুধবার লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেসের মূল ফটক ও প্যারিসের সেই দুর্ঘটনাস্থলে ফুল, পতাকা ও ছবি রেখে ডায়ানার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রূপকথার রাজকুমারীর মতোই ঘটনাবহুল ডায়ানার জীবন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছেলে ও তাঁর উত্তরসূরি প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিয়ের মধ্য দিয়ে ডায়ানার এ ঘটনাবহুল জীবনের শুরু। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে প্রিন্সেস ডায়ানা মারা যান। কিন্তু এখনো বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষের ‘হৃদয়ের রাজকুমারী’ হয়ে রয়ে গেছেন তিনি।
বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব ও সবচেয়ে বেশি আলোকচিত্রিত নারী ডায়ানা যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স সবে ৩৬ বছর। মৃত্যুর ২৫ বছর পরও ডায়ানার জনপ্রিয়তা যে কমেনি, তার বহু উদাহরণ পাওয়া যায়। ডায়ানার ঘটনাবহুল জীবন নিয়ে বই, চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র, সিরিজ নির্মিত হয়েছে ও এখনো হচ্ছে।
১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই ২০ বছর বয়সী ডায়ানা ৩২ বছর বয়সী চার্লসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮২ সালের ২১ জুন জন্ম নেয় প্রথম সন্তান—প্রিন্স উইলিয়াম। ১৯৮৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ডায়ানার কোলজুড়ে আসে এই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান প্রিন্স হ্যারি। ১৯৯৬ সালে তাঁদের বৈবাহিক জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
রূপকথার রাজকুমারীর মতোই ঘটনাবহুল ডায়ানার জীবন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছেলে ও তাঁর উত্তরসূরি প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিয়ের মধ্য দিয়ে ডায়ানার এ ঘটনাবহুল জীবনের শুরু। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে প্রিন্সেস ডায়ানা মারা যান। কিন্তু এখনো বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষের ‘হৃদয়ের রাজকুমারী’ হয়ে রয়ে গেছেন তিনি।
প্যারিসে সেই সুড়ঙ্গে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে আসা ক্লপ গটিয়ার (৭৯) এএফপিকে বলেন, ‘ডায়ানার খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া। তিনি অন্য অনেকের মতো ছিলেন না। তিনি ছিলেন মার্জিত। খেলা ভালোবাসতেন। আজ সবাই শোকার্ত। ভেতরে তাঁর জন্য ফুল রেখে এলাম। ফুলগুলো শুকিয়ে যাবে কিন্তু ডায়ানা অমর।’
জার্মানির মিউনিখ শহরের বাসিন্দা উলরাইক প্লাঙ্ক (৬৪) ওই অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, তার নিচে ডায়ানা মারা গেছেন, এটা ভেবে গা শিউরে উঠছে। তাঁর মতো একজনকে আমরা সত্যি আজও পাইনি। সারা বিশ্ব আপনি দেখেন কোথাও তাঁর মতো এখন আর কেউ নেই।’
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে