প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। তাঁর দাবি, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সরকারি দলের লোকজনও জড়িত।বুধবার জাতীয় সংসদে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আনা একটি সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আবুল কালাম আজাদ এসব কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবিসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক সময় সঠিক তথ্য দেয় না। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিজস্ব ম্যাকানিজমে তথ্য সংগ্রহ করে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা ও জেলা–উপজেলায় যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন।
সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, কী ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে, তা তিনি সংসদে বিস্তারিত বলতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারলে তাঁকে বলতে পারতেন। ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে নিজেদের লোকও জড়িত।
সরকারি দলের সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জাতীয় সংসদে সাধারণ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। প্রস্তাবে বলা হয়, ১৫ আগস্টের চক্রান্তকারীদের প্রেতাত্মারা এখনো ক্ষান্ত হয়নি। তারা পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে এসে ইতিহাসের চাকাকে ঘুরিয়ে দিতে আজও ঘৃণ্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই ঘৃণ্য চক্রান্তকে সফল হতে দেয়া যায় না।
বিএনপি–জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে অনেক টাকা আসছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু লোক ঠিক করেছে, আওয়ামী লীগের যারা বিদ্রোহী প্রার্থী, তাদের ভেতরে বিভিন্নভাবে সামনে যেকোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত যাতে সফল হয়। এগুলো শক্ত হাতে দমন না করলে হবে না।’
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা যারা কাজকর্ম করছে তাদের দিকে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের প্রত্যেককে সতর্ক করতে হবে। কারণ বিএনপি-জামায়াতের কিছু মহিলা ধর্মের কথা বলে, রাজনীতির কথা বলে। সেইদিকে খেয়াল রাখবেন। সবাই যদি সতর্ক থাকি, চোখ-কান খাড়া রাখি, তাহলে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
সরকারি দলের সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, ইতিহাসের পাদদেশে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা, বাঙালির মহত্তম ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদকে বিনম্র চিত্তে ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি এবং বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেওয়ার শপথ গ্রহণ করছি। ২০২২–এর আগস্ট মাসে একাদশ জাতীয় সংসদের ঊনবিংশতম অধিবেশনে এই হোক প্রত্যয়দৃঢ় ঘোষণা।’
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে