এখন যা দেখছি, অত্যন্ত নোংরামি

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে ফের হলমুখী হয়েছে দর্শক। এ বছর বেশ কয়েকটি ছবি সাড়া জাগিয়েছে। তাই চলচ্চিত্রের সুদিন ফেরা নিয়ে আশাবাদী হয়েছিলেন অনেকে। তবে বেশ কয়েকটি ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধও হয়েছে। চলচ্চিত্রের পরিচালক, প্রযোজক ও কলাকুশলীরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করেছেন। একে অপরকে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। এতে জনমণে তারকাদের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

এসব নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি জানান, এখন যা হচ্ছে এসব নোংরামি। এগুলো বন্ধ করেন। সবার সভা সমিতি কাছে। সেখানে অভিযোগ করেন। আগে দেখেন, তারা কি ব্যবস্থা নেয়।ডিপজল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কিছু কিছু লোক ফিল্ম নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করছে। কিছু হলেই ক্যামেরার সামনে চলে আসছে, এগুলো ঠিক না। এগুলো এড়িয়ে যান। প্রত্যেকে নিজ নিজ সমিতিতে বিচার দিন। সেটা না করে হুটহাট ফেসবুক লাইভে সব বলে দিচ্ছেন, কেন? যে যেটা পারছে মুখ খুলে বলে দিচ্ছে। আমাদের বিষয়টা একটু গোপনীয় রাখেন।

এটা হয় নাই কোন সময়? এখন যা দেখছি, অত্যন্ত নোংরামি। এই নোংরামিগুলো বন্ধ করে ভালো পরিবেশ করার চেষ্টা করেন। আমাদের ইজ্জত যাতে বাঁচে, এটুকু রাখার চেষ্টা করেন। কিছু হইলেই সংবাদ সম্মেলন করেন, কেন? এটা ঠিক না।’এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আগে একদিনে দুই শিফটে ৪-৫টা ছবির কাজ করেছি। সেই দিনগুলোর সঙ্গে এখনকার দিনের অনেক পার্থক্য। তবে সামনে ভালোদিন আসবে। পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, আমাদের আগ্রহও বাড়বে।’ডিপজল জানান, ‘প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে পারছি না। একটু ঠাণ্ডা পড়লেই কাজ শুরু করব। আমার কিছু ছবির কাজ শেষ হয়েছে, এখন সেন্সরে যাবে।

আপনাদের ভালোবাসা থাকলে ছবি বানানোর আগ্রহ বাড়বে। সবাই ভালো ছবি বানাচ্ছে। আপনারা সবার ছবি দেখেন। কাজে সাফল্য না পেলে, কাজের মন-মানসিকতা থাকে না। আপনারা আমাদের পাশে থাকেন, আমরাও ভালো ভালো ছবি উপহার দেব।’তিনি যোগ করেন, ‘যেহেতু একটা জিনিসই শিখেছি, ফিল্ম। এটা নিয়েই আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে সিনেমা হলের কাজ শুরু করবো। পাঁচটি সিনেপ্লেক্স বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। কম বাজেটের সিনেমা হলই বানাবো, যাতে সব শ্রেণির দর্শকরা সিনেমা উপভোগ করতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করবো। বাম চোখে একটু কম দেখি। তিন মাস পর পর শারীরিক চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যেতে হয়। এবার চার মাস হয়ে গেলো, যেতে পারছি না। আগামী মাসের ১৫ তারিখে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। হাতের কাজগুলো শেষ করেই যাব, ইনশাআল্লাহ।’

বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ

Exit mobile version