নরসিংদীর রায়পুরার একটি রেলস্টেশনে রেললাইন পার হওয়ার সময় গতকাল সোমবার সকালে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন এক নারী। তাঁকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর স্বজনদের খোঁজ না পাওয়ায় দিনভর হাসপাতালে ও রাতভর নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তাঁর লাশ পড়ে ছিল।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যদের কাছে ওই নারীর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই নারীর নাম সখিনা বেগম (৬২)। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বোকাইনগর এলাকার মৃত কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব রেলস্টেশন-সংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে স্টেশনে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।
দুই বছর আগে আরেকবার ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন তিনি। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যান। তখন তিনি ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন।
সখিনার স্বজনেরা বলেন, নিঃসন্তান সখিনা বেগম তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাঁচ বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি সড়কে সড়কে ঘুরে প্লাস্টিক ও কাচের বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করতেন।
পরিচয় জানার জন্য ওই নারীর ছবি গতকাল রাতেই বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়। পরে রাতে ভৈরব রেলওয়ে থানা-পুলিশের কাছে পাঠানো ছবি দেখে ওই নারীকে শনাক্ত করেন ভৈরব স্টেশনের এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা। তাঁর মাধ্যমেই সখিনার নাম-পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
খবর পেয়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে আজ সকালে তাঁর বাড়ির লোকজন নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আসেন। পরে তাঁদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক ইমায়েদুল জাহেদী এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে