প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশ তার উন্নয়নের ধারা থেকে কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতিতে পতিত হবে না; বরং সব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন (দলের নেতা–কর্মীদের) যে বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কা হবে না, হতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে অর্থনীতির গতিশীলতা, সেটা যেন অব্যাহত থাকে এবং অর্থনৈতিকভাবে আমাদের দেশটা যাতে এগিয়ে যেতে পারে, সে জন্য সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়ে সরকার এগোচ্ছে।’
দেশের সার্বিক উন্নয়ন বিবেচনাতেই তাঁর সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরাট অঙ্কের উন্নয়ন প্রকল্প, এটা নিলে পরে বিরাট অঙ্কের একটা কমিশন পাব, সে কথা চিন্তা করে শেখ হাসিনা কোনো প্রকল্প নেয় না।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, তাতে শ্রীলঙ্কা হয়েই গিয়েছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপির শাসনামলে।’
কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে সময় পাঁচবার দেশ দুর্নীতি চ্যাম্পিয়ন হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও পানির জন্য হাহাকার, মানুষের কর্মসংস্থান নাই, তার ওপর জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, সারা দেশে বোমা হামলা, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে হত্যাসহ বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেড হামলা।
আর তখনই মানুষ আন্দোলনে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়। কাজেই শ্রীলঙ্কার সেই অবস্থান থেকে তো বাংলাদেশকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছি। কাজেই আজকের বাংলাদেশ কেন শ্রীলঙ্কা হবে?’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সঞ্চালনা করেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাদেক খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের খান, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত প্রমুখ।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ
আগে মুরুব্বিরা কইতো এক বৌ ঘর তাড়ালাম চাইল চাবানোর ডরে । আরেক বৌ আইসা দহি আনাম মটকাটাই গিলে। আর দোষ দেয় আগেরটা ইতো চাইল চাবানী শিখিয়ে গেছেন । ধন্যবাদ
আগে মুরুব্বিরা কইতো এক বৌ ঘর তাড়ালাম চাইল চাবানোর ডরে । আরেক বৌ আইসা দহি আনাম মটকাটাই গিলে। আর দোষ দেয় আগেরটা ইতো চাইল চাবানী শিখিয়ে গেছেন । ধন্যবাদ