দক্ষিণাঞ্চলের রুটগুলোতে নৌপথে যাত্রী কমে গেছেঃনৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের রুটগুলোতে নৌপথে যাত্রী কমে গেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এতে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আয়ও কমেছে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়। সেতু দিয়ে স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু হয় উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন থেকে। এরপর ৩০ দিনে পদ্মা সেতু দিয়ে ছয় লাখের বেশি যানবাহন পারাপার হয়। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ৭৬ কোটি টাকার বেশি।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে চলাচলকারী ৮৭টি লঞ্চ, ১৫৫টি স্পিডবোটের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা নদীবন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী প্রতিদিন ৮৫-৯০টি লঞ্চ চলাচল করত। এখন সেখানে ৬০ থেকে ৬৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। ছয় মাসের মধ্যে নৌপথে যাত্রী চলাচলের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সড়কপথে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নৌপথে চলাচলে সময় বেশি প্রয়োজন হওয়ায় ঢাকা-চাঁদপুর, ঢাকা-ইলিশাসহ কয়েকটি নৌপথ ছাড়া প্রায় সব নৌপথে যাত্রী চলাচলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের নতুন নৌরুট সৃষ্টি করার সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে। নৌপথ জনবান্ধব করার জন্য দ্রুতগতিসম্পন্ন আধুনিক নৌযান সংযোজনসহ নৌদুর্ঘটনা রোধে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আধুনিক নৌবন্দর স্থাপন করে নৌপথে যাত্রীদের যাতায়াতব্যবস্থা আনন্দদায়ক ও নিরাপদ করা হয়েছে।
আজ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে বিআইওব্লিউটিসির রকেট স্টিমারের যাত্রীসংখ্যা অতিমাত্রায় কমে গেছে। এ ছাড়া মাওয়া-মাঝিকান্দি ফেরি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরি রুটেও যানবাহন চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এতে সংস্থার রাজস্ব আয়ও কমেছে।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ