গাজীপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে বরিশাল চলে যান ঘাতক স্বামী লালচাঁদ মোল্লা (৪০)। বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে দ্বারস্থ হন মসজিদের ইমামের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। ইমামের কাছ থেকে তাবিজ নেয়ার সময় ধরা পড়েন পুলিশের হাতে।
রোববার সন্ধ্যায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা দুর্গা সাগর দিঘি সংলগ্ন মসজিদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার লালচাঁদ মোল্লা সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর এলাকার হাসান মোল্লার ছেলে।
গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর লালচাঁন পালিয়ে মাধবপাশা দুর্গা সাগর এলাকায় আত্মগোপন করে। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, শনিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে লালচাঁন স্ত্রীকে সজোরে লাথি দিয়ে ঘর বাইরে থেকে আটকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘরে ফিরে এসে দেখতে পায় স্ত্রীর মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে পড়ে রয়েছে।
সিআইডির বরিশাল জেলা ও মেট্রো শাখার এসআই আবুল কালাম জানান, লালচাঁন গাজীপুর নগরীর কোনাবাড়ির কুদ্দুসনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় শনিবার তার স্ত্রী রিনা আক্তারকে (৩৬) হত্যা করে। খবর পেয়ে দুপুরে রিনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিনা সিরাজগঞ্জের আন্দারকোটাপাড়া গ্রামের গেদু শেখের মেয়ে।
লাঠির আঘাতে যখন বুঝতে পেরেছে স্ত্রী মারা গেছে তখন পালিয়ে বরিশাল চলে আসে। লালচাঁন এক সময় মাধবপাশা এলাকায় বাদশা সর্দারের গরুর ফার্মে চাকরি করতো। শনিবার রাতে ফার্মের পাশের একটি ঘরে আসে। রাতে ওই ঘরে ছিলো।
রোববার দিনভর এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করে। দুর্গা সাগর সংলগ্ন একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে ইমামের কাছে গিয়ে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষার তাবিজ ও দোয়া চায়। এ সময় সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে