সড়কে ট্রাক আটকে সয়াবিন তেল লুটের সময় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে সড়কে ট্রাক আটকে ১১ হাজার ১৬০ লিটার সয়াবিন তেল লুটের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চারটি টর্চ লাইট, ১০টি মোবাইল, মোটরসাইকেল, চেক ও নগদ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- ঢাকার খিলগাঁও এলাকার মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে মো. আরিফ মিয়া (২৫), সবুজবাগ এলাকার ইলিয়াস আলীর ছেলে আজগর আলী (২০), একই এলাকার ইমান আলীর ছেলে মো. শাকিব (২০), বরগুনার সদর উপজেলার মৃত ইউনুস আলীর ছেলে মো. আব্দুল খালেক (৪০)।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাত ১২টায় ফুলপুর থানা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।এর আগে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে ঢাকার খিলগাঁও, সবুজবাগ ও কদমতলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
। ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,ট্রাকটি রূপগঞ্জ এলাকায় আসতেই একটি প্রাইভেট কার ট্রাকের পথরোধ করে। চালক গাড়ি থামালে ডিবি পরিচয়ে ট্রাকে ওঠে ডাকাতরা। তারা চালক রুহান মিয়া, ম্যানেজার ফারুক মিয়া ও চালকের সহকারীর চোখ, মুখ বেঁধে প্রাইভেট কারের পেছনে রাখেন।
পরে ডাকাতদলের একজন ট্রাকটি চালিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে আসেন। সেখানে ট্রাক থেকে তেল অন্য ট্রাকে নিয়ে ম্যানেজার, চালক ও সহকারীকে সড়কে ফেলে চলে যান। পরদিন ১৬ই আগস্ট ভোরে ম্যানেজার ফারুক মিয়া ত্রিশাল থানায় সয়াবিন তেল লুটের বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি জব্দ করে।
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৫ই আগস্ট রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ১১ হাজার ১৬০ লিটার (৬০ ড্রাম) তেল কেনেন গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ। ওইদিন রাতেই তেল ট্রাকে লোড করে গাজীপুরের শ্রীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ফারুক মিয়া।পরে ম্যানেজার ফারুক মিয়ার কথা মতো বিষয়টি ফুলপুর থানা পুলিশকে জানায় ত্রিশাল থানার পুলিশ।
ওইদিন রাতে ফুলপুর থানা পুলিশ উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের বড় চিলাগাই এলাকার শাহজাহান সাজুর দোকান থেকে ৪৪ ড্রামে আট হাজার ১৮৪ লিটার তেল উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর গত ২০শে আগস্ট তেলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ বাদী হয়ে ফুলপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলার হালুয়াঘাট থেকে বাকি ১৬ ড্রাম তেল উদ্ধার করে।
ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ
আর কষ্ট করে ধরে জামিন দিয়েন না ❗ তাহলে সকলই বিফল ❗