নরসিংদীবিএনপিরাজনীতি

নরসিংদীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলি,৩৮ জন আহত

নরসিংদীর মনোহরদীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার দুপুরে মনোহরদীর হেতেমদি-ইটাখোলা সড়কের বাগবেড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সরদার শাখাওয়াত হোসেন বকুল অভিযোগ করেন, পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও হামলা চালায়। হামলায় তাদের ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩৮ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনের চোখে গুলি লেগেছে। তাদের ঢাকার ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোনো হামলা চালাননি দাবি করে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইমন আলম বলেন, বিএনপির কয়েক শ নেতাকর্মী দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে না পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অবস্থান ছিল।

জানা গেছে, হেতেমদিতে অনুষ্ঠেয় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা হাফিজপুরে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে হাফিজপুর থেকে হেতেমদির সভাস্থলে যাওয়ার পথে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকে ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষায় কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে। পুলিশের ছোড়া গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। অপরদিকে নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলে পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দীন জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের হাফিজপুরে সভা করার কথা থাকলেও তারা হাফিজপুর থেকে মিছিল নিয়ে হেতেমদি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে

৭ মন্তব্য

  1. যারা বিএনপির বা সরকার বিরোধী অন্য যেকোন দলের নেতৃত্বস্থানীয় নেতা তারা গুলিবিদ্ধ হয়না কেন? পুলিশের পিটুনি খায়না কেন? মরে না কেন ? মরে শুধু আমজনতা। হুজুগে নাচানাচি করা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ইট পাথর ছুঁড়ে মারা এবং এই অপরাধে অভিযুক্ত হওয়া।আর বড় নেতারা এসির বাতাস খেতে খেতে টিভির সামনে বসে শুইয়ে নতুন নতুন ফন্দি ফিকির জাহির করা । কিভাবে গলাবাজিতে সরকারকে চাপে রাখা যায় । আর অন্য দিকে তৃণমূলের হুজুগে আবাল বাঙ্গালীদের ভিতরে মিথ্যা প্রলোভনে মনের ভিতর উত্তেজনা লেলিয়ে দেওয়া । কিন্তু আবাল বাঙ্গালীর তো ভাবা উচিত এতকিছুর পর সে কী পাবে।

  2. এখন পুলিশ বাহিরে কোন জাগা পাটাবে কিচু আখে আপনাদের লোকের খায়ে হাত দিছে তাই ওছিরে অন্য জাগা পাটাইদিছেন

  3. এখন পুলিশ বাহিরে কোন জাগা পাটাবে কিচু আখে আপনাদের লোকের খায়ে হাত দিছে তাই ওছিরে অন্য জাগা পাটাইদিছেন

Back to top button