মহাসড়কে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে জনমনে ভয়-ভীতি সৃষ্টি, মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচজনকে গ্রপ্তার করেছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা–পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে জেলা পুলিশের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, রাজনীতির নামে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, তাদের প্রতিহত করা হবে। কেননা রাজনীতি ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে দেওয়া হবে না। এ কারণে দেশি অস্ত্র নিয়ে মহাসড়কে মহড়া দেওয়ার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে এবং এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।ফরিদপুর শহরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব অভিযান চলমান থাকবে এবং আরও বেগবান করা হবে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে আজ সকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন কানাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এ এফ এম আসলাম (২৮)। ওই মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি হলেন কানাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির (২৪), একই ইউনিয়নের কাশিমাবাদ গ্রামের নাজমুল (২৪), পাশের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ভোলাবাজ গ্রামের মো. সাগর ব্যাপারী (২৫), একই গ্রামের মো. রাকিব খান (২২) ও ভাটি কানাইপুর গ্রামের তুষার (২৩)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কানাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছে। এতে এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কানাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির ও থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৌরভ। অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আসলাম ও ছাত্রলীগের কর্মী সোহাগ।
এই দুই পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে ২৫ আগস্ট ফরিদপুর সদরের কানাইপুর বাজার–সংলগ্ন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একাংশ সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে। আসলাম ও সোহাগকে ভয় দেখানোর জন্য থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৌরভ স্থানীয় সন্ত্রাসী খায়রুজ্জামান ওরফে খাজা গ্রুপের দিদার, শহীদ, সোহেলসহ কয়েকজনকে নিয়ে মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মাহাবুব করিম বলেন, গ্রেপ্তার ওই পাঁচ ব্যক্তির প্রত্যেকের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আজ বিকেলে তাঁদের ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত রিমান্ডের শুনানির তারিখ পরে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত দিয়ে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ