লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আগামীকাল সোমবার বিএনপির জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত এই আয়োজনের বিষয়টি জানিয়ে প্রশাসনকে অবহিতকরণ চিঠি দিয়েছে দলটি। একই সময়ে একই স্থানে প্রতিবাদ ও শোকসভার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
এর আগে বুধবার (২৪ আগস্ট) জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই সময়ে একই স্থানে আওয়ামী লীগ শোকসভা ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। ফলে বিএনপি তাদের সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করে। তবে আওয়ামী লীগ যথারীতি তাদের শোকসভা ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
এদিকে গতকাল শনিবার ফেসবুকে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ রায়পুর উপজেলা ও পৌর শাখা কমিটির প্যাডে ‘জরুরি নোটিশ’ শিরোনামের একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়ে। ২৬ আগস্ট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক তানভীর হায়দার চৌধুরী ও আটজন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষর করেন। ওই চিঠিতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতিসভা করাসহ ২৯ আগস্ট বিকেলে বাসস্ট্যান্ডে শোকসভা ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক তানভীর হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘ওই দিন বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির কোনো কর্মসূচি আছে কি না, তা আমাদের জানা নেই। শোকের মাসের এই কর্মসূচি আমাদের পূর্বনির্ধারিত। আমরা আমাদের শোকসভা ও বিক্ষোভ মিছিল নির্ধারিত সময়েই করব।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ আগস্ট উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একটি অবহিতকরণ চিঠি দেওয়া হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার তাতে স্বাক্ষর করেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ২৯ আগস্ট বিকেলে পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা ও পৌর বিএনপির এবং সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। ওই দিন বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জনসভাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, এর আগেও আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশ বানচাল করেছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং প্রশাসনের অনুরোধে তাঁরা ওই সময় জনসভা স্থগিত করেছিলেন।
আবারও বিএনপির জনসভা বানচাল করতে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এবার বিএনপি জনসভা করবেই। আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে এর দায়ভার তাদের ও প্রশাসনকেই নিতে হবে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সভা-সমাবেশের নামে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। তবে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ