১ হাজার ৬৪১টি অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
তিন মাসে ১ হাজার ৬৪১টি অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তর এ সময় প্রতিদিন গড়ে ১০০ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নবায়ন করেছে বা নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়েছে। অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অভিযান আরও চার দিন চলবে।
আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর। অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিন মাস আগে শুরু হওয়া অভিযানের মূল্যায়ন শেষে এই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, গত তিন মাসে অবৈধ ১ হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এই সময় ১ হাজার ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে নতুন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯৩০টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নবায়ন করা হয়েছে। এই সময় সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সময় দেওয়ার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না, এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদনও করছে না। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান অসম্পূর্ণ আবেদন করে রেখেছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেয় না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, রোগ নির্ণয়কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযান সফল করতে অধিদপ্তর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে একাধিক সভা করেছে।
ব্রিফিং শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, তিন মাস আগে অর্থাৎ ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল। এই অভিযানে সরকারের অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিভাগ ও গণমাধ্যম সহায়তা দিয়েছে। কেউ এর বিরোধিতা করেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নতুন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। অধিদপ্তরের কাছে নিবন্ধনের জন্য প্রায় ২ হাজার ৫২৯টি আবেদন জমা পড়ে আছে।
যাচাই-বাছাই ও পরিদর্শন শেষে তাদের নিবন্ধন দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেসব প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে চলছে, তা আগামী ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ
বন্ধ করার আগে ঘুষের বিনিময়ে চালু রয়েছে! ছিঃ ছিঃ ছিঃ!