রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়ার একটি বাসা থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম নীলুফা আক্তার হাসি (৩৬)। তার স্বামী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বজলুর রশিদ স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) মেকানিক্যাল শাখায় কর্মরত।
মৃত নীলুফা পাবনার সুজানগর উপজেলার মো. হাতেম আলীর মেয়ে। এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে খিলগাঁও এলাকায় থাকতেন। মৃতের পরিবার বলছে, নীলুফা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে। এ বিষয়ে তাদের কোনো অভিযোগও নেই।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে তিলপাপাড়া ১১ নম্বর রোডের ১৮৫/৩/এ নম্বর বাড়ির নিচতলার বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় খিলগাঁও থানা পুলিশ।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম বলেন, মৃতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ কারণে আত্মহত্যা করেছেন। তাছাড়া স্বজনদের কোনো অভিযোগও নেই।
হাসপাতালের মর্গে মৃত নীলুফার বড় ভাই বিপ্লব জানান, নীলুফা শারীরিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিল। তার মানসিক সমস্যাও ছিল। এসব কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তিনি জানান, গতকাল সকালে ঘটনার সময় নীলুফার স্বামী বজলুর রশিদ করোনা টেস্ট করাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে যান।
ছেলে ছিল উত্তরায়। দুই মেয়ে বাসায় থাকলেও তারা ছোট। বড় মেয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। বাসা অনেকটা ফাঁকা পেয়ে অন্য রুমের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেন নীলুফা। পরে দুই মেয়ে দেখে ফেলে দা দিয়ে ওড়না কেটে নিচে নামায়। কিন্তু এর আগেই নীলুফা মারা যান। খবর পেয়ে আমরা সবাই ছুটে যাই।
বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে