বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় ভ্যানের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় ভ্যানের চালক ও এক শিশু আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস বাবুগঞ্জের রহমতপুর সেতুর ঢালে একটি ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানের দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ভ্যানচালক জয়নাল ও শিশু তাওহিদকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বিক্ষুব্ধ লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত ফাতিমা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
ইউএনও এ সময় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আশ্বাস দেন। এরপর বেলা পৌনে একটার দিকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধ লোকজন।
নিহত দুজন হলেন বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদার (৬৯) ও পলি বেগম (৩০)। আর আহত ব্যক্তিরা হলেন ভ্যানচালক জয়নাল (৫৫) ও পলি বেগমের চার বছর বয়সী সন্তান তাওহিদ। তাঁদের গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, শ্যামলী পরিবহনের বাস ভ্যানগাড়িকে চাপা দিলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।
বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে