জামিনে কারামুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ছাড়া পেয়েই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে। সেখানে তিনি বলেন, আমি সব সময় শেখ হাসিনার কর্মী ছিলাম, কর্মী হিসেবেই কাজ করে যাব।আজ শুক্রবার দুপুরে ছাড়া পেয়ে বিকালেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান তিনি।
গত ২৪ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সম্রাট। এদিন তিনি জামিনের আবেদনও করেন। কিন্তু আদালত সেটি নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার আগে ১৮ মে একই মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। তাকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেওয়া হয়।
সম্রাটের হাসপাতাল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা. মো. রসুল আমিন।এর আগে ২২ আগস্ট ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। কিন্তু অসুস্থ থাকায় দুদিন পর হাসপাতাল ছাড়েন তিনি।
জামিনের ক্ষেত্রে সম্রাটকে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়। শর্তগুলো হলো- তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে এবং আদালতের অনুমতি না নিয়ে বিদেশ যেতে পারবেন না।সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ জানান, জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিনের মধ্য দিয়ে সব মামলায় জামিন পেয়েছেন সম্রাট।
পরে ওই মামলায় ১১ মে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান সম্রাট। সেই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। এর মধ্যে আরও তিন মামলায় জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা। মোট চার মামলায় জামিন পাওয়ায় ১১ মে বিএসএসএমইউ হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সম্রাট।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে