সামরিক বাহিনীর নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শিগগিরই নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান জরুরি। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া সব আন্তর্জাতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমার ও দেশটির মানুষের জন্য একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবৃতিতে আন্তোনিও গুতেরেস আরও বলেন, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শিগগিরই নিজ দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে রাখাইনের বিভিন্ন ক্যাম্পে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা জরুরি।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-নিপীড়ন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আজ বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে ওই বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ