দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়ার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমডির পদত্যাগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই আজ পর্ষদের জরুরি এ সভা ডাকা হয়।
ডিএসইসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আইটির কেনাকাটা নিয়ে সংস্থাটির এক কর্মকর্তা ও পর্ষদের কয়েকজন সদস্যের দ্বন্দ্বের শুরু। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে এ দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। সর্বশেষ এমডি তাঁর একক ক্ষমতা পর্ষদকে না জানিয়ে শতাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতি দেন। তাতে কর্মকর্তা ও পর্ষদ সদস্যদের একটি অংশ নাখোশ হন।
এর জেরে পদত্যাগে বাধ্য হন এমডি। চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো দেড় পৃষ্ঠার পদত্যাগপত্রে এমডি বলেন, তিনি যেভাবে কাজ করতে চাইছেন, সেভাবে কাজ করতে পারছেন না। এ অবস্থায় তাই তিনি এমডি পদে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার এমডি পদত্যাগপত্র জমা দেন। দুই দিনের মাথায় জরুরি সভা ডেকে এমডির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।
ডিএসইর পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, এমডি তারিক আমিন ভূঁইয়ার নিয়োগ স্থায়ী না হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিন পর এ পদত্যাগ কার্যকর হবে। নতুন এমডি খোঁজার জন্য শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
ডিএসইর এমডির পদত্যাগের বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বুধবার সংস্থাটির কাছে ব্যাখ্যা তলব করে। পরদিন পর্ষদের জরুরি সভা আহ্বান করে ডিএসই। সেখানে ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া এমডি সম্প্রতি সংস্থাটির যেসব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছেন, সেই বিষয়ও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়।
সর্বশেষ সংস্থাটির শতাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতি নিয়ে এমডির সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের মতপার্থক্য তৈরি হয়। যার জেরে এমডিকে পর্ষদের কয়েকজন সদস্যের তোপের মুখে পড়তে হয়। এ কারণে গত মঙ্গলবার ই-মেইলে চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এমডি।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ