নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ‘ধর্ষণের শিকার’ এক কিশোরী লজ্জা ও অপমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ওই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার এক যুবককে কোতালেরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী বলেন, ধর্ষণের অপমান মেনে নিতে না পেরে ওই কিশোরী বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। গলায় ফাঁস লেগে গেলে কিশোরী বাঁচার জন্য হাত-পা ছোড়াছুড়ি করতে থাকে। ওই কিশোরীর হাত-পা ছোড়ার শব্দ পেয়ে পাশের এক প্রতিবেশী ওই কিশোরীকে বৈদ্যুতিক পাখা থেকে নিচে নামিয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩০০শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে রাতে বাসায় নিয়ে এলে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য তাঁদের ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন।
মামলার বাদী কিশোরীর ছোট খালা জানান, কিশোরীর মা ও বাবা মারা গেছেন। মা–বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে কিশোরী তাঁর বড় খালার সঙ্গে থাকছে। এক মাস আগে কিশোরী সদর উপজেলার একটি এলাকায় তার ছোট খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বাদী ও তাঁর স্বামী পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। একই বাড়িতে রিপন তাঁরা মা–বাবার সঙ্গে থাকেন।
২২ আগস্ট সকাল আটটার দিকে কিশোরীকে বাসায় রেখে বাদী ও তাঁর স্বামী তাঁদের কর্মস্থলে চলে যান। বেলা তিনটার দিকে রিপন দরজা খোলা পেয়ে ওই কিশোরীর ছোট খালার ঘর ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় কিশোরীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রিপন দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম রিপন মিয়া (২৩)। তিনি কোতালেরবাগ এলাকার বাসিন্দা ইউনুসের ছেলে। এ ঘটনায় কিশোরীর খালা বাদী হয়ে সকালে ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, এতিম কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার খালা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামি রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ