সমালোচনার মুখে মো. আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করা হয়েছে আগেই। এবার আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগে তাঁর ছেলে উপসচিব মো. আছাদুজ্জামানকে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার এ খবর জানান। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তারই অংশ হিসেবে মো. আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৪তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান বর্তমানে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।মো. আছাদুজ্জামান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তাঁর বাবা মরহুম মো. আমির হামজার ফৌজদারি মামলার দণ্ডপ্রাপ্তির তথ্য গোপন করে তাঁকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সুপারিশ নেন।
চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার ঘোষণা করা হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেখানে ১০ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। সাহিত্যে প্রয়াত মো. আমির হামজার নাম ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণার পর আমির হামজাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সাহিত্যিক ও পাঠকমহলে একেবারে পরিচয়হীন এ ব্যক্তিকে নিয়ে কৌতূহল দেখা দেয়। পরে অবশ্য আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় মামলা হয় এবং অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানিসহ সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে আছাদুজ্জামানকে তিরস্কার করে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ