যেভাবে ১৯৯১ সালে ‘স্বাধীন’ হয়েছিল ইউক্রেন
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯১ সালে বিশ্বে নতুন স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তারা।এর আগে ইউক্রেন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত একটি রিপাবলিক। এই সোভিয়েত ইউনিয়নে ছিল রাশিয়াও।ইউক্রেন স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সময়।সোভিয়েত ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তৎকালীন ইউক্রেনিয়ান সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক ২৪ আগস্ট ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
ওই সময় ইউক্রেনের সংসদ ঘোষণা দেয় তারা আর সোভিয়েত ইউনিয়নের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না বা মানবেন না। ইউক্রেন চলবে শুধুমাত্র ইউক্রেনের আইন দিয়েই।এ স্বাধীনতার ঘোষণার পক্ষে ভোট দেন বেশিরভাগ সংসদ সদস্য। এরপর ১৯৯১ সালের ১ ডিসেম্বর গণভোটের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করে ইউক্রেন।১৯৯০ সালের আগ থেকেই স্বাধীনতার দাবি তোলেন সাধারণ ইউক্রেনীয়রা।
১৯৯০ সালে তিন লাখ মানুষ লভিভ থেকে কিয়েভ পর্যন্ত একটি মানবন্ধন করেন।ইউক্রেনের স্বাধীনতার প্রশ্নে আয়োজিত গণভোটে ৯০ ভাগের বেশি ভোটার পক্ষে ভোট দেন। এমনকি বর্তমানে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়ার ৫৬ ভাগ মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইউক্রেন, বেলারুশ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী বিয়াওলিজা বনে মিলিত হন।
সেখানে তারা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়ার পক্ষে মত দেন।আর এর পরই ইউক্রেনের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেনকে একটি নতুন স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।১৯৯১ সালের ১ ডিসেম্বর স্বাধীন ইউক্রেনের প্রথম পেসিডেন্ট নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম প্রেসিডেন্ট হন লিওনিদ ক্রাভচুক। তার অধীনে ইউক্রেনের অর্থনীতি ১০% বৃদ্ধি পায়।
বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ