নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মো. তুহিন (১৭) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি এলাকার একটি ফার্নিচার কারখানার মেঝে থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তুহিনের লাশ উদ্ধারের পর সোনারগাঁ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তির দুই গালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। আজ বেলা দেড়টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
তুহিন ওই ফার্নিচার কারখানার মালিক নুরুল হুদার পালিত সন্তান। তুহিনের জন্মের সময় তাঁর মা মারা যান। এর পর থেকে তুহিন তাঁর ফুফু ফাতেমা বেগম ও ফুফা নুরুল হুদার পরিবারে বড় হয়েছে। তুহিনের বাবা মনির হোসেন সোনরাগাঁয়ের ঝাউচর এলাকার বাসিন্দা।
নুরুল হুদা বলেন, প্রতিদিন কাজ শেষে তুহিন কারখানাতেই ঘুমাত। এ ছাড়া সে পাশের একটি মসজিদ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ করত। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে তুহিন কারখানায় ঘুমাতে যায়। আজ বুধবার ভোরে সে প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ পরিষ্কারও করেছে। সকাল সাড়ে নয়টায় তিনি কারখানায় এসে মেঝেতে তুহিনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
নুরুল হুদা অভিযোগ করে বলেন, তুহিনকে খুন করা হয়েছে। কারখানার পাশে থাকা হিরাঝিম নামের একটি রেস্তোরাঁয় মাদক সেবন করা হতো। বিষয়টি নিয়ে ওই রেস্তোরাঁর মালিকের ছেলের সঙ্গে তুহিনের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে তুহিনকে খুন হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
তবে হিরাঝিম রেস্তোরাঁর মালিক মো. মোস্তাফা নুরুল হুদার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তুহিন নিজেই মাদকাসক্ত ছিল। বেশ কয়েকবার তাকে মাদক নিরাময়কেন্দ্রেও পাঠানো হয়েছে।
তাঁর ছেলের সঙ্গে বিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার ছেলের (১৫) সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তুহিনের ঝগড়া হয়েছিল। ওই সময় আমার ছেলে তুহিনকে মারধর করে। এ নিয়ে পরে বাজারে মীমাংসাও হয়েছে। তাকে খুন করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে, সেটা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।’
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ