নির্যাতন,হত্যা,গুম ও খুনের পরও বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে নাঃমির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এত নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুম ও খুনের পরও বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো আবার ধ্বংসাবশেষ থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। এটাই হচ্ছে রাগের সবচেয়ে বড় কারণ, ভয়ের কারণ। সমস্যাটা এ জায়গায় শেখ হাসিনার, আওয়ামী লীগের।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার’ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

গতকাল ২২ আগস্ট থেকে সারা দেশে কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গতকাল থেকে নতুন করে গ্রামপর্যায়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে।

গোটা দেশের মানুষ দেখছে যে মানুষ কীভাবে রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রতিটি থানা-উপজেলায় বড় বড় মিছিল হয়েছে। এর মধ্যেও তারা (আওয়ামী লীগ) থেমে নেই। গতকাল তারা লক্ষ্মীপুরে আক্রমণ করেছে। গৌরনদীতে ছাত্রদল, যুবদল, বিএনপির নেতাদের ঘর থেকে বের করে এনে মারধর করেছে।

কেন খালেদা জিয়াকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যদি বেরিয়ে আসেন, তাহলে সরকার তাঁকে সামাল দিতে পারবে না। তারেক রহমান যদি দেশে আসেন, তাহলে এখানে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। এই ভয়েই তারা সেটা করতে চায় না।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়াকে গতকাল হাসপাতালে যেতে হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এখন তিনি কারান্তরীণ না হলেও গৃহে অন্তরীণ অবস্থায় আছেন। কালকেও চিকিৎসকেরা বলছিলেন চিকিৎসার জন্য তাঁর বাইরে যাওয়া দরকার। কিন্তু এ সরকার তাঁকে বাইরে চিকিৎসা করতে দিতে চায় না, বেরোতে দিতে চায় না।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল নামের একটি সংগঠন ‘পুলিশ ও র‍্যাব কর্তৃক গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার’ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দিতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।এতে ভোলা, ফেনী, চট্টগ্রাম ও নেত্রকোনায় ‘গুম–খুনের’ শিকার ১৪ জন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পারভেজ রেজা, যুবদলের সহসভাপতি মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ বক্তব্য দেন।

বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ

Exit mobile version