৩০০ মানুষের ৫০ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে
বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে শেরপুরে ৩ শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাব।আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার তুরাগের রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প এলাকার একটি বাসা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁরা হলেন কামরুজ্জামান সুজন (৪০) ও তাঁর মা কামরুন নাহার হাসেম (৬১)। র্যাব বলেছে, দুজনই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। দুজনই সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাবর অ্যান্ড কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কামরুজ্জামানের বাবা আবুল হাসেম। এ প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৬ একর জমির ওপর দুটি অটো ব্রিকফিল্ড, তিনটি ফিলিং স্টেশন, একটি অটো রাইস মিল, পোলট্রি ফার্মসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ অগ্রিম গ্রহণ করতেন মা ও ছেলে। একপর্যায়ে কামরুজ্জামান ঢাকায় পালিয়ে আসার পর তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করাসহ শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন।
পাশাপাশি তাঁরা আদালতে একাধিক মামলা করেন। আদালত কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৩৫টি ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে ৩টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১ বলেছে, বাবর অ্যান্ড কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান। তাঁর নামে ৩২টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি তিনটি সাজার পরোয়ানা রয়েছে। তিনটি মামলায় সাজা হওয়ায় তাঁর মা কামরুন নাহারের বিরুদ্ধেও আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা র্যাব-১–এ একটি অভিযোগ করেন ও আইনি সহায়তা চান। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ছায়া তদন্ত করে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ