অপরাধকক্সবাজারচট্টগ্রামবাংলাদেশ

রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক স্কুলশিক্ষিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

কক্সবাজার সদর উপজেলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক স্কুলশিক্ষিকাকে (২৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষিকা আত্মীয়ের বাসায় এক অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের একটি ভবনে দলবদ্ধ ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটলেও থানায় মামলা হয়েছে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টায়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওই শিক্ষিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে আসতে সময় লাগবে। দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে শনাক্তে এবং প্রধান আসামি বেদার মিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলায় উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়াকে (২৮) প্রধান আসামি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

বিলম্বে মামলার কারণ জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষিকার এক নিকটাত্মীয় বলেন, রামু উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। মামলার জন্য প্রথমে রামু থানায় গিয়েছিলেন তিনি, তবে ঘটনাস্থল কক্সবাজার সদর থানাধীন হওয়ায় পরে এই থানায় আসেন। এর মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামি শনাক্তে চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ। এসব কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। গতকাল রাতে মামলা নিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা-পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৮ আগস্ট রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা পিএমখালীর মালিপাড়ায় তাঁর ভাগনির মেহেদী অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বেদার মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে (টমটম) বাড়ি ফিরছিলেন ওই শিক্ষিকা।

ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বেদার মিয়া ও তাঁর তিন সহযোগী ইজিবাইকের গতি রোধ করেন এবং দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিএমখালীর চাঁন্দের পাড়ার আল বয়ান ইনস্টিটিউটের সামনে নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিয়ে যান তাঁকে। সেখানে তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। একজন ধর্ষণে সহায়তা করেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকাকে সেখানে ফেলে রেখে চারজন পালিয়ে যান।

বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে 

Back to top button