প্রতারণার শিকার হয়ে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) প্রবাসী বাংলাদেশি খায়রুল বাশার রানা (৫০)। রানা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ধর্মপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বদিউল আলমের ছেলে।
খায়রুল বাশারের শ্যালিকার স্বামী বখতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন জানান, বাশার আত্মহত্যার আগে ফেসবুক লাইভে তার মৃত্যুর জন্য একই উপজেলার সুয়াবিল গ্রামের জনৈক রফিক নামের এক প্রবাসীকে দায়ী করেছেন।
দুবাইয়ে রফিকের সঙ্গে বাশারের মোবাইল ফোনের যৌথ ব্যবসা ছিল। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জনৈক রফিক দোকানটি দখল এবং বাশারের গাড়ির চাবি নিয়ে বাশারকে মারধর করার কথাও লাইভে উল্লেখ করেন বাশার।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি দুবাইয়ের লাকী রাউন্ড এলাকার ভাড়া বাসার একটি কক্ষে ফেসবুক লাইভ চলাকালীন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। দ্রুত সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, বাংলাদেশে তার বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ও ১০ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে।
ধর্মপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শোয়াইব সিকদার বলেন, খায়রুল বাশার তিন দিন আগেও ফেসবুকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে তার মরদেহ প্রবাসে দাফনের আবেদন জানান। আমরা ফটিকছড়ি ও ধর্মপুর প্রবাসী পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছি।
বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে