দেবীদ্বারে স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ভিডিওর সূত্র ধরে স্বামী শাহাদাত হোসেন (২৮) নামে এক রাজমিস্ত্রীকে আটক করেছে দেবীদ্বার থানা পুলিশ। সে এলাহাবাদ ইউনিয়নের হারস্বার গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তিন লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে উপজেলার হারস্বার গ্রামের মো. ইউনুস মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রী মো. শাহাদাত হোসেন তার স্ত্রী তিন সন্তানের জননীকে (২২) প্রতিনিয়ত অমানবিক নির্যাতন করে আসছিল। রবিবার সকালে নিজ বাড়ির পাশের একটি দোকানের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে বেত্রাঘাত, চর, থাপ্পর, মুখে লাথি মেরে এবং চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়া করে অমানবিক নির্যাতন করে।
ওই সময় রবিউল রবি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ৫৫ মিনিটের একটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার আইডি থেকে টিম ‘দেবীদ্বার গ্রুপে’ আপলোড করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
বিষয়টি দেবীদ্বার থানা পুলিশের নজরে এলে এলাহাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সহযোগীতায় মো. শাহাদাত হোসেনকে রবিবার বিকেলে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ভিকটিমের মা ঝরনা বেগম জানান, ২০১৯ সালের ১৫ জুন পিতৃহারা মেয়েকে জমি বিক্রি করে তিন লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকেই আরো যৌতুকের দাবিতে মারধর করে আসছিল। এরই মধ্যে তার স্বামী শাহাদাত হোসেন তথ্য গোপন করে যৌতুক নিয়ে আরো একটি বিয়ে করে। ওরা জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নারী নির্যাতন মামলা করে জেলে পাঠায়। প্রায় ৮ মাস জেল খেটে জামিনে এসে আমার মেয়ের ওপর যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করে।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, নারী নির্যাতনের ভিডিওটি দেখার পর স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় নির্যাতনকারী স্বামী মো. শাহাদাত হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। নির্যাতিতাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। ভিকটিম বাদী হয়ে মো. শাহাদাত হোসেনকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে