ছুটি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ছুটি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুজন সহকারী শিক্ষক। এখন ওই শিক্ষকরা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন দুই দিনের ছুটি নিলেও অপরজন কোনো ছুটি নেননি। ফলে শিক্ষক সংকটে পড়েছে বিদ্যালয়। এ অবস্থায় দ্রুত পদ শূন্য করে শিক্ষক পদায়নের দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বালিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া সুলতানা ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দেন। রোজিনা খাতুন চাকরিতে যোগ দেন ওই বছরের ৩ আগস্ট। যদিও অনুপস্থিতের মাস থেকেই তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যালয় দুটির একাধিক শিক্ষক বলেন, চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়ে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকা গুরুতর অন্যায়। শুধু বিদ্যালয়ই নয়, এতে শিক্ষার্থীদেরও ক্ষতি হয়। অব্যাহতি নিলে দ্রুত পদ শূন্য সাপেক্ষে শিক্ষক পাওয়া যায়। কিন্তু বিধি মোতাবেক বরখাস্ত হতে দীর্ঘ সময় লাগে।
অনুপস্থিত থাকা শিক্ষকরা হলেন- উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের খালিয়া মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমাইয়া সুলতানা ও একই ইউনিয়নের দেলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রোজিনা খাতুন। এদের মধ্যে সুমাইয়া সুলতানা ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ছুটি ছাড়াই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। অন্যদিকে রোজিনা খাতুন ২০২১ সালের ৮ ও ৯ ডিসেম্বর দুই দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে আর বিদ্যালয়ে হাজির হননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, ‘ছুটি ছাড়াই সুমাইয়া সুলতানা ও রোজিনা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ইতোমধ্যে এ নিয়ে একাধিকবার তদন্ত হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি তারা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। খুব শিগগিরই পদ দুটি শূণ্য ঘোষণা করা হবে এবং শিক্ষক পদায়নের ব্যবস্থা করা হবে।’
খালিয়া মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ‘কোনো প্রকার ছুটি ছাড়াই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন সুমাইয়া সুলতানা। তার পরিবার জানিয়েছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। আর চাকরি করবেন না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসকে অবগত করা হয়েছে। পদ শূন্য হওয়ার অপেক্ষা মাত্র।’
দেলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুজ্জামান বলেন, ‘২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসে দুই দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে আর বিদ্যালয়ে আসেননি রোজিনা খাতুন। পরে জানতে পারি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসকে অবগত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার তদন্তও হয়েছে।’
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে