আইনের সংশোধিত খসড়া জনস্বার্থে প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেঃটিআইবি
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধিত খসড়া জনস্বার্থে প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে প্রচলিত চর্চা অনুযায়ী, আইনের সংশোধনীর খসড়াটি গণমাধ্যম, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে তা সমন্বয়ের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আইনটির সঙ্গে সরাসরি গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতি-নৈতিকতার বিষয়টি জড়িত। তাই এ সংশোধনের প্রতিটি ধাপে এই অংশীজনদের অবহিত করার পাশাপাশি মতামত গ্রহণের পর তা সমন্বয় করা আবশ্যক। এ অবস্থায় প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনীর খসড়া জনস্বার্থে প্রকাশের পাশাপাশি অংশীজনদের মতামত গ্রহণ দরকার।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যেকোনো আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের আগে এর খসড়া জনস্বার্থে প্রকাশ করা এবং অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত, যা দেশে সাম্প্রতিককালে প্রণীত প্রায় সব আইনের ক্ষেত্রে অনুসৃত হচ্ছে।
আমরা দেখছি, প্রেস কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করতে বিদ্যমান আইনের সংশোধিত খসড়া প্রণয়নের উদ্যোগ বেশ কয়েক বছর ধরে চলমান রয়েছে। কিন্তু এ আইনের খসড়া অপ্রকাশিত রাখার পাশাপাশি অংশীজনকে, বিশেষ করে সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনকে প্রদানেও অপারগতা প্রকাশ করেছে প্রেস কাউন্সিল।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এ গোপনীয়তার চর্চার মাধ্যমে দেশের আইন প্রনয়ণ ও সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রচলিত রীতিকে উপেক্ষার মাধ্যমে স্বেচ্ছাচারিতার নজির সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের স্বার্থ ও স্বাধীনতা রক্ষার চেয়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে প্রেস কাউন্সিল এ গোপনীয়তার আশ্রয় নিচ্ছে কি না, এ প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া যৌক্তিক। আমরা আশা করি, প্রেস কাউন্সিল দেশের প্রচলিত চর্চার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আইনের খসড়া অনলাইনে অবমুক্তকরণে উদ্যোগী হবে।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে আইনের খসড়াটি পর্যলোচনা, মতামত সংগ্রহ ও অবহিতকরণের জন্য জনস্বার্থে তা প্রকাশ করে আসছে সরকার। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি শক্তিশালী উদাহরণ হিসেবে এ অনুশীলন যখন সব আইনের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তখন প্রশ্ন ওঠে—প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধনীর খসড়াটি কেন জনস্বার্থে প্রকাশ করা হবে না?
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ