জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক গৃহবধূকে (২৫) ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণ করে জিম্মি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ আজ শনিবার দুপুরে সরিষাবাড়ী থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি ধর্ষণের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধূর (২৫) স্বামীর বাড়ি উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে। দেড় বছর আগে পাশের আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ।
এর আগে স্বজন হালিম তাঁর বন্ধু রাজনের সঙ্গে গৃহবধূর পরিচয় করিয়ে দেন। এর পর থেকে ওই গৃহবধূকে রাজন মুঠোফোনে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। হালিমের সহযোগিতায় রাজন জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন এবং মুঠোফোনে তার ভিডিও ধারণ করেন।
এর পর থেকে রাজন ধর্ষণের ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এমনকি গৃহবধূকে হুমকি-ধমকি ও ভয় দেখিয়ে দেড় বছরে রাজন গৃহবধূর কাছ থেকে ৪ লাখ টাকাও আদায় করেন।
মামলার প্রধান আসামিসহ দুজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন রাজন (২৫) ও তাঁর সহযোগী হালিম (৩২)। অভিযোগ পাওয়ার পরই তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ আজ সকাল নয়টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর গ্রাম থেকে তাঁদের আটক করে।
পরে মামলা নথিভুক্ত করে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ দৌলতপুরে খালার বাড়ি থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় রাজন তাঁকে অপর দুই আসামির সহযোগিতায় বাটিকামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে রাজন দৌড়ে পালিয়ে যান।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে আজ দুপুরে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে
আসসালামু আলাইকুম প্রতিটি মানুষের এটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থাকে আর আমরা তা নিয়েই নারা ভাষা করি কিন্তু সত্য কথা বলতে কি আজ বিভিন্ন রাষ্ট্রে এবং আমার এই বাংলায় দেশে যারা নির্যাতনের শিকার তাদের কিন্তু মৃত্যুর পথ বেছে নিতে হয় একমাত্র তারা মুখ দেখাতে গেলে সমাজে অত্যন্ত কষ্টের দুঃখে দেখাতে হয় কেউ কেউ আত্মহত্যা বেঁচে নেই আমাদের কাছে একটাই কথা এই জনগণ যদি আমরা একত্র হইয়া এদের বিরুদ্ধে সত্যের মোকাবেলা করি তাহলে হয়তো এই কাজগুলো আর কোথাও ঘটবে না এটাই সত্য ঘটনার অবলম্বন এমনভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে যাতে এই কাজ যেখানে ঘটক না কেন তাদের বিচার করার জন্য সবসময় সাথে থাকতে হবে